জানুন কালোজিরার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে
কালোজিরার ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই।প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ রোগ প্রতিরোধ এবং রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কালোজিরার ব্যবহার করে আসচ্ছে।
কালোজিরায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কালোজিরায় প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদান রয়েছে। প্রতি গ্রাম কালোজিরায় পুষ্টি উপাদান আছে;
- প্রোটিনঃ ২০৮ মাইক্রোগ্রাম।
- ভিটামিন বি১ঃ ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
- নিয়াসিনঃ৫৭ মাইক্রোগ্রাম।
- ক্যালসিয়ামঃ ১.৮৫।
- আয়রনঃ ১০৫ মাইক্রোগ্রাম।
- ফসফরাসঃ ৫.২৬ মিলিগ্রাম।
- কপারঃ ১৮ মাইক্রোগ্রাম।
- এছাড়াও আরো শতাধিক পুষ্টি উপাদান আছে।
কালোজিরা সাধারনত খাবারে ফোড়ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।খাবারের স্বাদ বৃদ্ধা এবং খাবারে পুষ্টি উপাদান বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কালোজিরা ব্যবহার করা হয়।
জানুন কালোজিরার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে |
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কালোজিরা
কালোজিরা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি শরীরে অন্যরকম শক্তি যোগায়।নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার কারনে শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ সতেজ হয়।
কালোজিরায় সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় সেটা নিয়মিত খাওয়ার কারনে শরীরে থাকা ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস হয়ে যায়।
কালোজিরা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।অর্থ্যাৎ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার কারনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
আপনার হঠাৎ করে যদি পেটে সমস্যা হয় তাহলে ৫০০ গ্রাম কালোজিরা ৭-৮ চামচ দুধে মিশিয়ে খেয়ে নিন দেখবেন পেটের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
বাতের ব্যাথায় কালোজিরা
বাতের ব্যাথার জন্য কালোজিরার তেল কিন্তু খুবই উপকারী। বাতের ব্যাথার জায়গায় আপনি যদি নিয়মিত কালোজিরা তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব আরাম পাবেন।
দৈনিক কমপক্ষে এক চামচ কাঁচা হলুদ রস, এক চামচ মধু এবং এক চামচ কালোজিরা দৈনিক ৩ বার খাবেন। এভাবে কয়েকদিন খেতে থাকেন দেখবেন কিছুদিনের ভিতরেই ফলাফল পাবেন।
যাদের মাজা-কোমরে ব্যাথা, পিটে ব্যাথা তাদের দৈনিক ২ বার কালোজিরার তেল দিয়ে ব্যাথা স্থানে মালিশ করতে হবে।
ব্লাড পেশারে কালোজিরা
ব্লাড পেশার নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে। ব্লাড পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনি প্রতিদিন দু-কোয়া রসুন খেয়ে কালোজিরার তেল শরীরে মেখে কমপক্ষে আধা-ঘন্টা রোধে থাকবেন। এভাবে নিয়মিত রসুন খাওয়া এবং কালোজিরার তেল মাখলে কয়েকদিনের মধ্যেই ব্লাড পেশার ঠিক হয়ে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালোজিরা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কালোজিরা অনেক উপকারী। কালোজিরা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কালোজিরা খান।
সর্দি-কাশিতে কালোজিরা
কালোজিরা সর্দি-কাশির প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। আপনি প্রতিদিন ১ চামচ কালোজিরা ১ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খান। এছাড়াও মধুর পাশাপাশি লাল চায়ের সাথে মিশিয়ে কালোজিরা খেতে পারেন।
আপনি ২ চামচ তুলসি পাতার রস এবং ৩ চামচ মধুর রসের সাথে কালোজিরার সাথে মিশিয়ে খেলে গ্যারান্টি সহকারে জ্বর, ব্যাথা, সর্দি-কাশি কমে যাবে। এছাড়াও হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্যও কালো জিরা খুব ভালো কাজ করে।
রক্ত সঞ্চালন
দেহে সঠিক রক্ত সঞ্চালনের জন্য কালোজিরা অনেক উপকারী। দেহের রক্ত চলাচল যতো ভালো হবে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ততই বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত কালোজিরা খাওয়াতে পারেন। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্যও কালোজিরা ভালো কাজ করে।
কালোজিরার বিশেষত্ব
কালোজিরা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়। এটি দেহের বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। হৃদরোগ জনি সমস্য, ত্বকের সুস্বাস্থ্য ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে কালোজিরা তেল খুবই উপকারে আসে।
আপনার দুই চোখের নিচে কালো কালো দাগ নিয়ে টেনশনে আছেন! টেনশন করার কোনো প্রয়োজন নেই। দৈনিক ঘুমানের আগে কালোজিরা তেল লাগাবেন দাগ থাকবে না।