স্লিম হওয়ার ১০টি সহজ উপায়
অতিরিক্ত মোটা স্বাস্থ্য দুঃশ্চিন্তার অনেক কারন।আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষ আছে, যারা অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারনে বিভিন্ন ভাবে সমস্যায় পড়চ্ছে।
তাই এই আর্টিকেলে স্লিম হওয়ার ১০টি সহজ ও কার্যকরী উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলাপ করবো।
তো চলুন আর্টিকেলটি শুরু করা যাক
স্লিম হওয়ার ১০টি সহজ উপায়। ১ মাসে ফলাফল |
১.নিয়মিত ব্যায়াম
চিকন বা স্লিম হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন,শারীরিক কসরত করবেন। ঘরোয়া উপায়ে অনেক ব্যায়াম আছে সেগুলো করবেন।
এছাড়াও ভালো কোনো জিম থাকলে সেখানে গিয়ে সঠিক উপায়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
তবে জিমনেসিয়ামে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিবেন জিমের ট্রেইনার অভিজ্ঞ কি না।কারন অনভিজ্ঞ ট্রেইনার শরীরের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু এনে দিতে পারবে না।
আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পোষ্টঃ
২.শর্করা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ
শর্করা জাতীয় খাবার স্বাস্থ্য বাড়ায়।তাই শর্করা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদিও শর্করা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করা খুবই কঠিন।চিনি, আঁশ,শ্বেতসার ছাড়া শাকসবজি পাওয়া মুসকিল।কারন শর্করাই হলো খাদ্যের মৌলিক অংশের মধ্যে একটি।
তবে অধিক শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
৩.সঠিক সময় খাবার গ্রহণ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা চিকন হওয়ার জন্য সকালে ও রাতে না খেয়ে থাকে।যেটা মটেও উচিত নয়।কারন এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের অনেক বড় ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।
তাই সকালে ও রাতে কম খাবেন।এবং এই সময়ের খাবারে পুষ্টি, ক্যালরি কম রাখবেন।
রাতে বেশি খেলে এমনিতেই মানুষের শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
৪.পরিমিত পানি থেকে একটু বেশি পানি খাবেন
আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা পানি বেশি পান করলে স্বাস্থ্য বাড়ে মোটা হয়।তবে ধারণাটা কিন্তু ঠিক নয়।
প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে শরীরে থাকা ক্ষতিকর ফ্যাট এবং রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়।
কারন পানি আমাদের শরীরে মেটাবলিজমের শক্তি বাড়িয়ে দেয়।এজন্য বেশি পান করলে আমাদের খিদে কমে যায়।
৫. ঘুমানোর ৩ ঘন্টা আগে খাবার খান
মানুষের ওজন বৃদ্ধিতে রাতের খাবারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুম ছাড়া আমাদের কোনো কাজ থাকে না।
আর আমরা তো ভালো করেই জানি রাতে খাওয়ার পর ঘুমানোর কারনে শরীরে পুষ্টি, ক্যালরি ইত্যাদি জমা হয়।
তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘন্টা আগে খাবেন।
খাওয়ার পর সাথে সাথে ঘুমানো যাবে না।একটু কায়িকশ্রম অথবা পুশআপ করুন।
এগুলোর করার কারন খাবারের থেকে পাওয়া পুষ্টি উপাদানগুলো যেনো শরীরে জমা না থাকে।
৬.নিয়মিত ঘুম
আপনি যদি দ্রুত চিকন হতে চান তাহলে নিয়মিত ঘুমান।কারন ঘুম মানুষের শারীরিক ঘাটতিগুলো পূরণ করে দেয়।ঘুমের কারনে আমরা সারাদিনের কাজ করার সব শক্তি পেয়ে যাই।
নিয়মিত ঘুমানোর কারনে যেহেতু শরীর ঘাটতিগুলো পূরণ হয়ে যায় তাই কম কম খেলেও সমস্যা হয় না।
তবে অবশ্যই দুপুরে ঘুমানো যাবে না। কারন দুপুরে ঘুমালে খাবারের সকল পুষ্টিগুণ জমে যাবে।
রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।
০৫. সফট ড্রিংক বা কোমল পানীয় পরিহার করুন
অবশ্যই কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।কারন কোমল পানিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কার্বন-ডাই -অক্সাইড দেওয়া হয়।যা মানুষের শরীরে ক্ষতিকর ফ্যাট তৈরি করে।
এর কারনে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর ফ্যাট জমা হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতেও আক্রান্ত হয়।
৪.ফাস্টফুড বা বাহিরের খাবার থেকে বিরত থাকুন
মোটা হওয়ার আরেকটি প্রধান কারন হলো ফাস্টফুড এবং বাহিরেন খাবার খাওয়া। এগুলো খেতে যতই ভালো লাগুক না কেনো এগুলোকে স্বাস্থের জন্য মারাত্মক খারাপ।
আপনি জানলে অভাক হবেন ফাস্টফুড তৈরিতে ক্ষতিকর ফ্যাট জাতীয় বিভিন্ন উপাদান দেওয়া হয়।
নিয়মিত ফাস্টফুড বা উপরের কোমল পানীয় খাবারের কারনে শরীরে ডায়াবেটিস, ওবিসিটি ইত্যাদি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৩.খাবারে শর্করার থেকে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি রাখুন
আমরা জানি শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে ওজন বৃদ্ধি করে। তাই খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার কমিয়ে প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি রাখতে হবে।
যেমন শর্করা জাতীয় খাবার ভাত,ডাল,রুটি ইত্যাদির পরিবর্তে মাছ, মুরগির মাংস ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
২. চিন্তামুক্ত থাকুন
চিকন হতে হলে অবশ্যই চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।কারন দুঃশ্চিন্তা চিকন হওয়ার জন্য অনেক বড় বাধা।
সবসময় চেষ্টা করবেন নিজেকে চিন্তামুক্ত ফ্রেশ রাখতে।
অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তার কারনে আপনার হজমের সমস্যা হবে।এর কারনে খাদ্য শক্তিতে পরিণত না হয়ে ক্ষতিকর ফ্যাটে পরিণত হবে।
তাই এই সকল বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
১.নিয়মিত শাকসবজি ফলমূল খান
চিকন হতে চাইলে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল খান।কারন সবজিতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি আপনার শরীরে জন্য অনেক উপকার হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক পাঠিকারা, মোটা চিকনের থেকে বড় কথা শরীরের সুস্থতা।তাই শরীর সুস্থর দিকে প্রথমে নজর দিবেন।
এরপর অল্প অল্প করে আপনি এই নিয়মগুলো পালন করুন।চিকন হতে অবশই আপনার ধৈর্য থাকতে হবে।
কারন ১ দিনে যেমন মোটা হওয়া যায় না,ঠিক তেমনি ১ দিনেও চিকন হওয়া যায় না।
উপরের নিয়মগুলো নিয়মিত পালন করলে ১ মাসেই ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ্।