কিভাবে দ্রুত মোটা হবেন?মোটা হওয়ার সহজ উপায়

কিভাবে দ্রুত মোটা হওয়া যায়?অতিরিক্ত মোটা হলে যেমন খারাপ লাগে,ঠিক একই ভাবে অতিরিক্ত রোগা পাতলাও দেখতে অনেক খারাপ লাগে।
Also Read

কিভাবে দ্রুত মোটা হওয়া যায়

অতিরিক্ত মোটা হলে যেমন খারাপ লাগে,ঠিক একই ভাবে অতিরিক্ত রোগা পাতলাও দেখতে অনেক খারাপ লাগে।
উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের বিষয় নির্ধারণ হয়।উচ্চতা অনুযায়ী যদি ওজন কম বা বেশি হয় তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের দ্রুত মোটা হওয়ার সহজ ১০টি ট্রিকস দিবো।


তো চলুন পেচাল বাদ দিয়ে শুরু করা যাক।



কিভাবে দ্রুত মোটা হবেন?মোটা হওয়ার সহজ উপায়
কিভাবে দ্রুত মোটা হবেন?মোটা হওয়ার সহজ উপায় 



১.নিয়মিত ব্যায়াম করুন

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করা হয়।কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতেই নয় বাড়াতেও সাহায্য করে।
আপনি ভালো জিমে গিয়ে ব্যায়াম করুন।সেখানে অভিজ্ঞ ট্রেইনার আপনার চেহারা এবং স্বাস্থ্য দেখে বুজে নিবে আপনার জন্য কোন ধরনের ব্যায়াম জরুরি। 


আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পোষ্টঃ
মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম।


২.খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার বেশি রাখুন

দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে শর্করা জাতীয় খাবার খুবই কার্যকরী।দৈনিক খাবারের তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার বেশি রাখবেন।
ভাত,রুটি,মিষ্টি আলু,ছোলা,ডাল,কলা ইত্যাদি শর্করা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

৩. কিছু সময় পর পর খাবার অভ্যাস করা

দিনে ২-৩ ঘন্টা পর পর খাবার গ্রহণ করবেন।অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ,ডিম,দই,ছানা, ফলমূল নিয়মিত খান।

৪.ছোলা বুট ও কিসমিস 

দ্রুত ওজন বাড়াতে ছোলা বুট ও কিসমিস খান।কারন ছোলাতে থাকা শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি।এবং কিসমিসের পুষ্টি উপাদান অনেক শক্তিশালী।
খাবারের নিয়মঃ- রাতে ঘুমানের সময় একটা কাপের আধাকাপ সমান ছোলাবুট ভিজিয়ে রাখুন।এবং দৈনিক ১০টা কিসমিস একটা কাপের ভিজিয়ে রাখুন।
পরদিন সকালে উঠে দেখবেন ছোলা বুট ও কিসমিস ফুলে রয়েছে।ছোলা বুটের উপরের চামরা খুলে সব ছোলা বুট চিবিয়ে খান।
ছোলাবুটের মতো কিসমিসও সকালে ফুলে থাকবে।কিসমিসের পানি সহ কিসমিস খান।নিয়মিত এই অভ্যাসটি করুন। দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য এটা খুব সহজ কৌশল 


৫.পরিমিত ঘুমাবেন 

একটা বাংলা প্রবাদ আছে মানুষের নাওন,খাওন,ঘুম ঠিক না থাকলে কোনো কিছুই ঠিক থাকে না।কথাটা চিরন্তন সত্য। 
স্বাস্থ্য ও মন দুটোই ঠিক রাখতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ ঘন্টা ঘুমাবেন।এবং প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করবেন।এতে করে আপনার স্বাস্থ্য খুব ভালো হবে।

৬.দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন

শুধু স্বাস্থ্য নয় সব সমস্যারই কারন হলো দুঃশ্চিন্তা। তাই দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য প্রথমে নিজেকে টেনশনমুক্ত রাখতে হবে।
যদিও টেনশন মুক্ত থাকা কঠিন।তবে সারাদিন ব্যস্তো অথবা খেলাধুলা বা ব্যায়াম করলে টেনশনমুক্ত থাকা যায়।


৭.নিয়মিত ডিম খান

নিয়মিত কমপক্ষে ২-৩টা ডিম খাবেন।তবে অবশ্যই ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না।ডিমের সাদা অংশটা শুধু খাবেন।
কারন ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন মাসল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


৮.অবশ্যই ড্রাই ফ্রুটস খাবেন

ড্রাই ফ্রুটস ক্যালরি ও ফ্যাটে সমৃদ্ধ।যা মানুষের ওজন বুদ্ধির জন্যই অনেক কার্যকরী।
প্রতিদিন ঘুমানের আগে এবং ঘুম থেকে উঠে ২ থেকে ৩টি কাজুবাদাম খাবেন।এছাড়াও আরোও অন্যন্যা ড্রাই ফ্রুটসগুলোও খাবেন।এতে করে আপনি দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন।
বর্তমানে একসাথে একটি বোতলে ড্রাই ফ্রুটসের সব কিছু পাওয়া যায়  । 


৯.মধু ও দুধ

ঘুমানের আগে নিয়মিত দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খান।কারন রাতে ঘুমানোর পর শরীরে থাকা ক্যালরি পুষ্টিগুণ সব জমা হয়।আর এই জন্যই রাতে অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
মধু ও দুধ অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ। নিয়মিত মধু দুধ খেলে শরীরে অনেক পরিবর্তন আসবে।


১০.নিয়মিত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান

আপনার নিয়মিত খাবারে শর্করার পাশাপাশি অধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখবেন।কারন উচ্চ প্রোটিন আপনার শরীরের মাংস পেশি বাড়ায়।
এছাড়াও শরীরে টিস্যুগুলোর জন্যও প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 


শেষ কথা

উপরের ট্রিকসগুলোতে দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য আমি সব থেকে কার্যকরী ট্রিকস রেখেছি। এরপরও যদি আপনি স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগেন তাহলে দেরি না করে বড় ডাক্তার দেখান।
কারন জেনেটিক,ডায়রিয়া,এউডস,হাইপারথাইরয়েডিজম,কিডনির সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে মানুষের স্বাস্থ্যহীনতার কারন ঘটে।
তাই বড় ডাক্তার দেখালে, সে রোগ ধরে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে আপনি দ্রুত সুস্থ্য হতে পারবেন।

Post a Comment

সর্বশেষ আপডেট পেতে গুগল নিউজে ফলো করুন ⬇⬇
follow Q2Ans on google news
Ads